November 21, 2024, 8:56 am
ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় খননকৃত বরোপিট (গৈ) খনন পরবর্তী সফলতা পাওয়ায় উপকারভোগী কৃষক-কৃষানীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১টায় উপজেলা চারকুনী বাজারে স্থানীয় কৃষকদের আয়োজনে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়ে। এতে পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুর সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি ও উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল গাজী। বক্তব্য দেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, স্থানীয় কৃষক আলতাফ হোসেন। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ফারহানা পারভীন মুক্তি, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আহম্মদ সাঈদ ও আলাউর রহমান, স্থানীয় কৃষক-কৃষানীরা।
এসময় বোরো আবাদের লক্ষ্যে বরোপিট খননের মাধ্যমে নোড়া-চারকুনী এলাকার ৪৫১ বিঘা জমি ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদিত হয়েছে ৭০৮৮ বস্তা ধান, মোট ১০ হাজার ৬৩২ কেজি ধান। যার বাজার মূল্য ১,৩৬,৮০০০ টাকা। আর ধানের বিচুলী হয়েছে ৬৮৪ কাউন, যার বাজার মূল্য ১০,৫০,৪৮০০ টাকা।
উল্লেখ্য যে, খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় (অর্থায়নে) বোরো আবাদের লক্ষ্যে অপরিকল্পিত ঘেরে পানি নিষ্কাশন নালা (বরো-পিট) খনন কাজ হাতে নেওয়া হয়। যা নোড়া চারকুনি এলাকার ওয়াহেদ মোল্লার ঘের হতে ওমর আলীর ঘের পর্যন্ত ১.২ কিলোমিটার। এর ফলে নোড়া চারকুনি এলাকার মৎস্য ঘেরে প্রায় ৪৫ বছর পরে এবছর নতুন ভাবে বোরো ধান চাষ শুরু হয়। খননের এক বছরের মধ্যে স্থানীয় কৃষক সুফল পেতে শুরু করেছে তারা। এতে খুশি হয়ে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি, উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আহম্মদ সাঈদ ও আলাউর রহমানকে সম্মননা ক্রেস্ট প্রদান করে। এছাড়া পাশ্ববর্তী আরো একটি বরোপিট খনন, কৃষি সেচ মেশিন, জমি চাষ দেওয়া নাঙ্গলের দাবি করেন কৃষকরা। এসময় খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বরোপিট খনন কাজের ঘোষনা দেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
Comments are closed.